রিডার মোডে সুইচ করুন

         পুরি হতে পালিয়েছে যে পুরসুন্দরী

কোথা তারে ধরি, কোথা তারে ধরি।

      রক্ষা রবে না, রক্ষা রবে না–

      এমন ক্ষতি রাজার সবে না,

                  রক্ষা রবে না।

বন হতে কেন গেল অশোকমঞ্জরী

ফাল্গুনের অঙ্গন শূন্য করি।

      ওরে কে তুই ভুলালি,

      তারে কে তুই ভুলালি–

ফিরিয়ে দে তারে মোদের বনের দুলালী,

      তারে কে তুই ভুলালি।

Recommended Posts

ক্ষমিতে পারিলাম না যে

         ক্ষমিতে পারিলাম না যে       ক্ষমো হে মম দীনতা,             পাপীজনশরণ প্রভু। মরিছে তাপে মরিছে লাজে       প্রেমের বলহীনতা–             ক্ষমো হে মম দীনতা,                   পাপীজনশরণ প্রভু।       প্রিয়ারে নিতে পারি নি বুকে,             প্রেমেরে আমি হেনেছি,       পাপীরে দিতে শাস্তি শুধু             পাপেরে ডেকে এনেছি। জানি গো তুমি ক্ষমিবে তারে       যে অভাগিনী পাপের ভারে             চরণে তব বিনতা।             ক্ষমিবে না, ক্ষমিবে না       আমার ক্ষমাহীনতা,             পাপীজনশরণ প্রভু॥

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৩৯

এসেছি প্রিয়তম

                এসেছি প্রিয়তম, ক্ষমো মোরে ক্ষমো। গেল না গেল না কেন কঠিন পরান মম–       তব নিঠুর করুণ করে! ক্ষমো মোরে।              কেন এলি, কেন এলি, কেন এলি ফিরে।       যাও যাও যাও যাও, চলে যাও।              যাও যাও যাও যাও, চলে যাও।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৩৯

সব কিছু কেন নিলো না

         সব কিছু কেন নিল না, নিল না,       নিল না ভালোবাসা–             ভালো আর মন্দেরে। আপনাতে কেন মিটাল না       যত কিছু দ্বন্দ্বেরে–             ভালো আর মন্দেরে। নদী নিয়ে আসে পঙ্কিল জলধারা সাগরহৃদয়ে গহনে হয় হারা, ক্ষমার দীপ্তি দেয় স্বর্গের আলো       প্রেমের আনন্দেরে–             ভালো আর মন্দেরে॥

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৩৯

হায় রে হায় রে নূপুর

      হায় রে, হায় রে, নূপুর তার   করুণ চরণ ত্যজিলি, হারালি       কলগুঞ্জনসুর। নীরব ক্রন্দনে বেদনাবন্ধনে       রাখিলি ধরিয়া বিরহ ভরিয়া             স্মরণ সুমধুর। তার   কোমল-চরণ-স্মরণ সুমধুর। তোর   ঝংকারহীন ধিক্কারে কাঁদে             প্রাণ মম নিষ্ঠুর॥

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৩৯